শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নিউয়র্কের বাজারে মৌসুমী ফলের ব্যাপক সরবরাহ

নিউয়র্কের বাজারে মৌসুমী ফলের ব্যাপক সরবরাহ

স্বদেশ ডেস্ক:

নিউয়র্কের বাজারে মৌসুমী ফলের এখন ব্যাপক সরবরাহ। বিশেষ করে এশিয়ান ও বাংলাদেশী প্রজাতির ফলের ব্যাপক সরবরাহ এসেছে বাজারে। কিন্তু ফলের এ ভরা মৌসুমেও উচ্চ দাম নিয়ে অসন্তোস জানিয়েছেন ক্রেতারা। যদিও ব্যবসায়ীরা বলেছেন আগামী এক মাসের মধ্যে দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে যাবে।

নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসসহ বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকাগুলোর গ্রোসারী শপগুলোতে এখন সারি সারি ফলের স্তুপ। মৌসুমী ফলের মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা ক্রেতা-বিক্রেতারা। বাহারি রঙ, স্বাদ আর গন্ধের ফলগুলো যেকোন পথচারিকে আটকে দেয় অবচেতন মনে। মূলত: জুন-জুলাই আমেরিকার মধু মাস। এসময় মৌসুমী প্রায় সব ধরণের ফল আসে বাজারে। চলতি বছর ফ্লোরিডার বাগানগুলোতে ফলের ব্যাপক চাষ হওয়ায় এবার সেপ্টেম্বরে শীত পড়ার আগ পর্যন্ত মৌসুমী ফলের সরবরাহ বাজারে থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

আম, জাম, কাঠাল, লিচু, আনারসসহ এশিয়ান ও বাংলাদেশী প্রজাতির বহু ফলের চাষ হয় ফ্লোরিডাসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে। কিন্তু এ ফলগুলোর চাহিদা শুধু এশিয়ান কমিউনিটিতে। ফলে চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি সরবরাহ আছে বাজারে। তারপরও ফলের দাম কমছে না। এ নিয়ে অস্বস্থি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারা জানান, গত কয়েক বছরে এশিয়ান কমিউনিটিতে মানুষের সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। ফলে সরবরাহের ওপর চাহিদার চাপ পড়েছে। তাই মৌসুমের শুরুতে ফলের দাম কিছুটা চড়া থাকে। তবে আগামী এক মাসের মধ্যে দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে যাবে বলে জানান তারা।

এদিকে রাজনৈতিক কারণে এবার হেইতি থেকে আম না আসায় আমের সরবরাহে বৈচিত্র কিছুটা কম। তবে হেইতির আমের জায়গা পূরণে আরো কিছু নতুন প্রজাতির আম বাজারে এসেছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা। সংশ্লিস্টরা আরো জানান, বাংলাদেশের রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় উৎপাদিত ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে আমেরিকায়। কিন্ত বাংলাদেশ থেকে ফল আমদানীর সুযোগ না থাকায় একটি সম্ভাবনাময় বাজার হারাচ্ছে বাংলাদেশ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877